করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আরও দুই সদস্য।
আব্দুল খালেকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিম উদ্দিন মৃধা। আর কনস্টেবল আশেক মাহমুদের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তারা মারা যান। এরমধ্যে এএসআই আব্দুল খালেক করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে ছিলেন এবং আশেক মাহমুদ রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অন্যদিকে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান বলেন, ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মালেক জানান, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেবার পর তাকে মতিঝিল আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়। গতকাল তার করোনার পরীক্ষার স্যাম্পল পাঠানো হয়।
গতকাল বিকেল থেকে আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছিল না। তখন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেবার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া হিসাব মতে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা ৩৩৬।