করোনার ‘কিট’ বনাম জাফরুল্লাহর ‘কীট’
ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন রাজনীতিবিদও। তিনি রাজনীতি করবেন এটাই স্বাভাবিক। করোনা কিট নিয়েও তিনি শুরু থেকেই রাজনীতি করে আসছেন। যেহেতু উনি বর্তমান সরকার বিরোধী রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, তার সব রাজনীতি সরকারের বিরুদ্ধেই যাবে। করোনা কিট নিয়ে উনি তাই করছেন।
করোনা কিটের আবিষ্কারক ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, “ আমাদের কিন্তু সবাই সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে বলেই আমরা রিএজেন্ট আনতে পেরেছি।”
ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঘুষের অভিযোগও তুলেছেন। কারণ তিনি জানেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে ইমেজ , এই অভিযোগ সবাই বিশ্বাস করবে। তিনি তার সেই নষ্ট রাজনীতিটাই এখানে করেছেন।
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সাথে পুরো বিষয়টি যিনি তদারকি করেছেন সেই ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন ভিন্ন কথা। ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, না না, অনেক সময় হয়তো তিনি এসব কথা বলে ফেলেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের বিরুদ্ধে আমি কিছুই বলিনি। এসব প্রক্রিয়া আমার জানা কারণ আন্তর্জাতিকভাবে আমি অনেক প্রজেক্ট ডিল করেছি। সমাধানও হয়ে যাবে।
ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই সময়ে এখানে বিএনপি ঐক্যজোটের রাজনীতি না করলেও পারতেন।
“করোনা কিট” আর “জাফরুল্লাহ কীট” এর মধ্যে পার্থক্য অনেক। কিট আর কীটের হিসাবটাও খুব সহজ। একটা রোগ সনাক্তকরণের যন্ত্র আরেকটা ক্ষতিকর পোকামাকড়। ড. বিজন শীলের আবিষ্কার “করোনা কিট” এর মধ্যে ড. জাফরুল্লাহ “কীট” হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন।
লেখক: উপ- প্রেস সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)