Saturday, November 23, 2024
খেলাধুলা

টেন্ডুলকারের বিশ্বাস, ক্রিকেট বদলে যাবে করোনায়

২০০ টেস্ট খেলা ক্রিকেট পৃথিবীর একমাত্র খেলোয়াড়। ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। দুই যুগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে প্রায় সাত বছর আগে অবসর নেওয়ার পরও ভারতে যার দেবতুল্য ভাবমূর্তিতে এখনও আঁচড় পড়েনি, সেই শচীন টেন্ডুলকারের ৪৭তম জন্মদিনটা গেল অনাড়ম্বরভাবে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়নি তার মুম্বাইয়ের বাড়ি। উৎসবের আবেশ ছড়িয়ে পড়েনি সারাদেশে।

এটি হয়েছে টেন্ডুলকারের কারণেই। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির এই  সময়ে ক্রিকেটের মহানায়ক চাননি তার জন্মদিনে উৎসব হোক। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন পালনের আগের মুহূর্তে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার বলেছেন, করোনা মহামারি একসময় থেমে যাবে, কিন্তু ক্রিকেট খেলাটা আর আগের মতো থাকবে না। পরিবর্তনটা হবে অনেকভাবেই। সূচিগুলো যেভাবে স্থগিত হয়ে গেল সেসব পুনর্বিন্যাস করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হবে। হঠাৎ করেই যে আবার ক্রিকেট শুরু হয়ে যাবে, এটি বলতে পারছেন না টেন্ডুলকার। কারণ আগামীকালই লকডাউন উঠে যাচ্ছে এটা বলাটা তার পক্ষে দু:সাধ্য আর সেজন্য ক্রিকেটাররা ফিটনেস ফিরে পেতে যথেষ্ট সময় পাবে এটাও ঠিক নয়। ক্রিকেটারদের ফিটনেস ফিরে পেয়ে ক্রিকেটের ছন্দে ফিরতেই অনেক সময় লাগবে।

তারপর… খেলার মধ্যেই কত রকম বিধিনিষেধ আসবে, সেটা ভেবেও টেন্ডুলকারের খারাপ লাগছে। যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উইকেট প্রাপ্তি, অর্ধশতক বা শতক উদযাপনে, এমনকি জয় উদযাপনে আলিঙ্গন করা যাবে না। ‘হাই-ফাইভ’ করা যাবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আবার হয়তো আবার ফিরে আসবে, তবে টেন্ডুলকার মনে করেন, মনের মধ্যে কোথাও সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার এই ভীতিটা হয়তো থেকে যাবে। তাই খেলাটার মধ্যে প্রাণের অভাবও থাকবে। তবে টেন্ডুলকার এটি বিশ্বাস করেন যে চকচকে ভাব ধরে রাখতে বলে থুতু বা লালা লাগানো আর হয়তো চলবে না। কারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবিতে এ বিষয়টি নিয়ে বলাবলি হচ্ছে আগে থেকেই।

পরিস্থিতি এমনও দাঁড়াতে পারে যে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কেমন লাগবে বিষয়টা? যদি এমনটা হয়ই, টেন্ডুলকারের কাছে তা হবে অদ্ভূত এক অনুভূতির, ‘ ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলাটা অদ্ভূত এক অনুভূতির। কারণ একটি বাউন্ডারি হাঁকালে বা একটি উইকেট তুলতে পারলে দর্শকদের কাছ থেকেই আপনি শক্তিটা পান। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা তো একরকম নেট অনুশীলনের মতো মনে হবে।’

আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের টেস্ট সিরিজটা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শুধু অ্যাডিলেড ওভালেই আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেজন্য হতে পারে অভিনব একটা ব্যবস্থা। মাঠের সঙ্গেই যে নতুন হোটেলটা করা হয়েছে, সেখানেই নাকি থাকবে খেলোয়াড়েরা। হোটেল থেকে মাঠে এসে অনুশীলন করবে, মাঠে খেলেই চলে যাবে হোটেলে। তবে ‘লিটল মাস্টার’ এটি পছন্দ করেন না। তার মতে, একটি ওয়ানডে সিরিজ হয়তো একই মাঠে খেলা যায়, ২৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট নয়!

আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের টেস্ট সিরিজটা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শুধু অ্যাডিলেড ওভালেই আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেজন্য হতে পারে অভিনব একটা ব্যবস্থা। মাঠের সঙ্গেই যে নতুন হোটেলটা করা হয়েছে, সেখানেই নাকি থাকবে খেলোয়াড়েরা। হোটেল থেকে মাঠে এসে অনুশীলন করবে, মাঠে খেলেই চলে যাবে হোটেলে। তবে ‘লিটল মাস্টার’ এটি পছন্দ করেন না। তার মতে, একটি ওয়ানডে সিরিজ হয়তো একই মাঠে খেলা যায়, ২৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট নয়!

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *