“পত্রিকায় লেখার জন্য সব গল্প না, কিছু গল্প হৃদয়ে লেখার জন্য”
এই ছবিগুলো কোন দামী ক্যামেরায় তোলা না। এই ছবিগুলোর রেজুলেশন ভাল না। এই ছবিগুলোর কোন শিল্পমূল্য নাই। তবুও এই ছবিগুলো দেখে আমার গর্ব হচ্ছে।
কারণ এর পেছনের গল্পের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার মানবিক রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য গঠিত ছাত্রলীগের মনিটরিং সেল ইতোমধ্যেই দেশ বিদেশে নানাভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
ছাত্রলীগের উদ্যোগে নিয়মিত ওষুধ ও খাদ্য নিশ্চিত করে মানবিকতার অন্যন্য দৃষ্টিস্থাপন করা এই মনিটরিং সেল চালাতে ছাত্রলীগের কতো কর্মীর ঘাম, শ্রম, মেধা ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও শেষ হবে না।
সারারাত ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে খুব ভোরে মনিটরিং সেলে পৌঁছায় মঈন, জামশেদ ও কাদেরী। তখনও কেউ ঘুম থেকে ওঠে নাই, আশেপাশে নীরবতা। তিনজনের চোখে ঘুম, কিন্তু সবাই ঘুমিয়ে পড়লে কিভাবে হবে? ওষুধগুলো কাদেরী পাহারা দিতে থাকে আর পাটি পেতে মঈন ও জামশেদ ঘুমিয়ে পড়ে। আশেপাশের মানুষজন ঘুম থেকে উঠে ভাবে ওদের মতোই রাখাইন থেকে নতুন কোন রোহিঙ্গা এসেছে। ওষুধ পাহারা দেওয়ার জন্য জেগে থাকা কাদেরী এই ছবি তোলে।
মানবিকতার এরকম বহু ঘটনা মিশে আছে এই মনিটরিং সেলের সাথে। মিশে আছে বহু মানুষ।
আজাদ নামের ছেলেটা বারবার আমার চোখ ভিজিয়ে দেয়। আমাকে সবচেয়ে বেশী কাঁদিয়েছে আজাদ। শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু না,সব ধরণের মানবিক বিপর্যয়ে দিনের পর দিন,রাতের পর রাত সে এতো পরিশ্রম করে যার মূল্য ভালবাসা দিয়ে শোধ করার সাধ্যও কারো নাই।তাঁর বাবা চায়ের দোকানদার, অভাবের সংসার, তবুও সে কোনকিছুতে পেছনে ফেরে না। যেখানেই দুর্যোগ সেখানেই আজাদ।
আমি আজাদের দিকে তাকাতে পারি না,কান্না আসে। তার অধিকাংশ শার্ট ছেঁড়া, সেলাই করে পড়ে। এই আজাদের দিকে তাকানোর ক্ষমতা আমার নাই। তাকে টাকা দিলেও সে অন্য কোন ভাল কাজে খরচ করে।
আজাদ তোর কি কোন ভাল শার্ট নাই? আমার সামনে কেনো সেলাই করা শার্ট পরে আসিস? আমাকে আর কতো কাঁদাবি?
অথচ ছাত্রলীগের ভেতরের মানবিকতার গল্পগুলো পত্রিকায় পাতায় স্থান পায় না।তাতে কি? পত্রিকায় লেখার জন্য সব গল্প না,কিছু গল্প হৃদয়ে লেখার জন্য।
লেখক: ইশতিয়াক আহমেদ জয়, সভাপতি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।।।
বাংলাদেশ ছাএলীগ চীরজীবী হওক।