রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
সিলেটের জালালাবাদ কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী শাহীন ও আজাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে ছাত্রলীগ।
সিলেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ ভীষণভাবে বিক্ষুব্ধ। সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তারা মধুর কেন্টিনের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন। এরপর টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
ছাত্রলীগকে ‘রক্ষণাত্মক’ ভূমিকা বাদ দিয়ে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় যেতে বলেছেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। কোথায় কোথায় শিবির রয়েছে, তা খুঁজে বের করে তাদের প্রতিহত করতে বলেছেন তিনি।
সিলেটের জালালাবাদে ছাত্রলীগ কর্মী শাহীন আহমদ ও আবুল কালাম আসিফকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা বিক্ষোভে এ নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সোহাগ বলেন, ‘আমাদের আর ডিফেনসিভে বসে থাকলে চলবে না, এখন থেকে এটাকিংয়ে স্টাইকারের ভূমিকায় যেতে হবে।’
‘শুধু স্লোগান দিয়ে, মিছিল করে, সমাবেশ করে শিবিরকে প্রতিহত করা যাবে না, আপনারা খুঁজুন শিবির কোথায় আছে তারপর তাদের প্রতিহত করুন। আর এই শোকের মাসে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
এই হামলার জন্য জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করছে ছাত্রলীগ। আর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে বেদম পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এর আগে সোমবার লক্ষ্মীপুরের ত্রিমোহনী এলাকায় শিবিরের দুই জন কর্মীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, ‘এই শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাময়াত-শিবিরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। জেলা, উপজেলায়, পাড়া-মহল্লায় ও ইউনিয়নের কোথাও জামায়াত শিবির থাকতে পারবে না। তাদের খুঁজে খুঁজে দমন করতে হবে এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘ছাত্রলীগ সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।’
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলাকারীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এর মধ্যে গ্রেপ্তারে না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জামায়াত-শিবিরকে সমুচিত জবাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জানে কীভাবে জবাব দিতে হয়।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত, ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পি, অহিদুর রহমান জয়, মশিউর রহমান শরিফ, সোহান খান, হাবিবুর রহমান সুমন, মো: আল আমিন, মোঃ মনির হোসেন, রাজিব আহমেদ রাসেল, সাকিব হাসান সুইম, মোঃ মিজানুর রহমান, শাহাদাত হোসেন রাজন, জাহাঙ্গীর আলম, চৈতালী হালদার চৈতী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, নওশেদ উদ্দিন সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন, সৃজন ঘোষ সজীব, শওকতুজ্জামান সৈকত, বিএম এহতেশাম, প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।