আ. লীগের তৃণমূল পর্যন্ত ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে মহা কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ।
দলটির দাফতরিক সূত্র জানায়, দলের তৃণমূল পর্যায়ের ৯০ শতাংশ কার্যক্রম এখনও ‘এনালগ’ পদ্ধতিতেই চলছে। অধিকাংশ জেলা-উপজেলায় দলীয় কার্যলয়ে কোনো ই-মেইল আইডি নেই।
ফলে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হয় অথবা কুরিয়ার সার্ভিস যোগে চিঠি পাঠাতে হয়। এর ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তৃণমূলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এতে অনেক সময় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই তৃণমূল নেতাদের প্রযুক্তি-নির্ভর করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় কাজগুলো ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পর্যায়ে একটি করে ল্যাপটপও দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
দফতর সূত্র জানায়, এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা উপজেলার দফতর, প্রচার, তথ্য ও গবেষণা বিভাগের নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সিআরআইয়ের মাধ্যমে প্রদত্ত এই প্রশিক্ষণে তৃণমূল নেতাদের ই-মেইল ব্যবহার, টাইপ শেখানো, চিঠিপত্র লেখা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, তৃণমূল নেতারা এখনও ‘এনালগ’। তারা ই-মেইল এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারেন না। ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। এ কারণে তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সব সমস্যার কথা মাথায় রেখে দলের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা শাখায় একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অধিকাংশ জেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন। আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠাতে হয়। তাই জেলায় দাফতরিক কাজে গতি আনতে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। যেন ই-মেইল আইডি খোলা যায় আর এগুলো ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য সরবরাহ করা যায়।