বরিশালকে হারিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম
আফিফ হোসেনের দিনটা আরও ভালো হতে পারতো। অপরাজিত ২৮ রান করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিজ দল ফরচুন বরিশালকে নিয়ে গিয়েছিলেন ১৪৯ রানে।
কিন্তু সেই অবদান পুরোটা জলে ফেললেন আফিফ নিজেই। ১৫০ রান তাড়ায় নেমে সুমন খানের করা চতুর্থ ওভারেই সৌম্য সরকার ক্যাচ তুলে দেন। সৌম্যর রান তখন ১০।
অনেকখানি উপরে ওঠা সেই বলের নীচে আফিফ এলেন ঠিকই, কিন্তু ধরতে পারলেন না বল। সেই জীবন পেয়ে সৌম্য শেষ পর্যন্ত করেছেন ৬২ রান।
আর সৌম্যর সেই ইনিংসে ভর করেই সাত উইকেটের সহজ জয় পেলো চট্টগ্রাম। আফিফের ফেলা ক্যাচে প্লে অফ এখনও অনিশ্চিত বরিশালের।
ম্যাচটা চট্টগ্রাম শুরু করেছিল নিজেদের অন্যতম সেরা তিন পারফর্মার মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস ও শরিফুল ইসলামকে ছাড়া।
শেষ পর্যন্ত লিটন দাসের অভাবটা বোঝা না গেলেও, শুরুতে ঠিকই তারা টের পায় মুস্তাফিজ-শরিফুলের শূন্যতা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের সাইফ হাসান আর তামিম ইকবাল গড়েন ৮৭ রানের ওপেনিং জুটি!
এ কথায় দ্বিমত করতে পারেন পেসার মেহেদি হাসান। তার বলেই দুবার পড়েছে তামিমের ক্যাচ। প্রথম বার আবার শূন্য রানে। সৈকত আলি ক্যাচটা ধরতে পারলে তো শুরুতেই নড়বড়ে হয়ে যেতে পারতো বরিশাল।
সেটি হয়নি। তবে বরিশালের ইনিংস নড়বড়ে হলো প্রথম উইকেটের পর থেকেই। ৮৭ রানে প্রথম উইকেটের পর ১০০ রানে দ্বিতীয়, ১২০ পর্যন্ত যেতে না যেতেই নেই পাঁচ উইকেট।
১৩২ রানের মাথায় বিদায় নেন ইরফান শুক্কুরও। শেষ পর্যন্ত যে ১৫০ রানের টার্গেট, সেটিও আফিফের কল্যাণে।
জবাবে লিটনের বদলে ওপেনিংয়ে নামা সৈকত আলির সঙ্গে সৌম্য সরকার গড়েন ৭৯ রানের জুটি। সেই জুটিও বরিশাল ফিল্ডারদের সহায়তা ছাড়া হতো না। সৌম্যের ক্যাচ তো আফিফ ফেলেছেনই, তাসকিন আহমেদের বলে সৈকতের ক্যাচও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেলেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
সৈকতের বিদায়ের পর মেহেদি হাসান মিরাজকে ছয় মেরে ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত সেই সুমনের বলে ফিরতে হয় সৌম্যকে। ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যাওয়া ক্যাচ সহজে লুফে নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম।
চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য ক্রিজে থাকলেন না বেশিক্ষণ। তারও বিদায় সুমন খানের বলে।
বাকি সময়টায় আর পা হড়কায়নি চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান জয় ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে আট আগে তাদের জয় পাইয়ে দেন।
এই জয়ের মধ্যে দিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পেল চট্টগ্রাম। সাত ম্যাচে মাত্র দুই জয় পাওয়া বরিশালকে প্লে-অফে যাবার জন্য জিততেই হবে পরের ম্যাচ।
সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর ফলাফলের দিকে।