খুলনার বিপক্ষে ২০ রানের জয় পেলো বেক্সিমকো ঢাকা
টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচেই ভাগ্যে হার জুটেছিল বেক্সিমকো ঢাকার। অথচ চার ম্যাচ পরই তাদের অবস্থান সম্পূর্ণ উল্টো। জেমকন খুলনাকে ২০ রানে হারিয়ে টানা চার জয় তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। সঙ্গে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফে জায়গাও।
জেমকন খুলনার সাথে দ্বিতীয় দেখায় ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈমদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত এই নৈপূণ্যে ২০ রানের জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলে যোগ দিয়েই একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান আল আমিন জুনিয়র। তিনি ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।
নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলীও। তার আক্রমণে বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সাব্বির।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা সাব্বির করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছয়, স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৩৬।
এদিন খুলনার পক্ষে মাশরাফি ২৬/১, হাসান ২৩/১ ও শহিদুল ৩১/২ উইকেট শিকার করেন।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুইটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আর হাসানকে ৮ রানে সাজঘরের পথ দেখান এই স্পিনার।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৬ বলে ২৩ রান করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ।
সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পেল ২০ রানের জয়।
ঢাকার পক্ষে রুবেল হোসেন ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। রবিউল ইসলাম রবি একাই ৫টি উইকেট শিকার করেন।