পদ্মাসেতুর দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ৪০০ মিটার
পদ্মাসেতুর ‘ওয়ান-বি’ পিলারের ওপর ৩৬তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সেতুর ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর সফলভাবে স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে।
এখন আর বাকি আছে মাত্র পাঁচটি স্প্যান। ৩৫তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় বসলো ৩৬তম স্প্যান। গত মাসে চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড।
পদ্মাসেতুতে বাকি থাকলো আর ৫টি স্প্যান বসানো। এগুলো- ১১ নভেম্বর পিলার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (২-সি), ১৬ নভেম্বর পিলার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান (১-এ), ২৩ নভেম্বর পিলার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান (২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিলার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান (২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ সকাল ৮টায় স্প্যান বসানো শুরু হয়। স্প্যানটিকে পিলারের উচ্চতায় উঠিয়ে রাখা হয়। এটি করতে ২ ঘণ্টার কম সময় লেগেছে।
পদ্মাসেতুর মূল সেতুর প্রকৌশলী জানান, স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি গতকাল নোঙর করে রাখা ছিল। এরপর দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে পজিশনিং করা হয়। তারপর স্প্যানটিকে ক্রেনের সহায়তায় তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিং এর উপর। আর এসব কাজগুলো করতে হয়েছে সতর্কতার সঙ্গে। স্প্যান বসানোর আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত করা হয়। এখন পাশের ৩-৪ নম্বর পিলারে স্থাপন করা স্প্যানের সঙ্গে ঝালাই করে দেওয়া হবে। যেটি করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। স্প্যান বসানোর সময় আশপাশ দিয়ে যাতে কোনো নৌযান চলাচল না করে সেদিকে দৃষ্ট রাখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।