Saturday, November 23, 2024
বাংলাদেশ

আফাজ উদ্দিন সরকার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগ সাঃ সম্পাদক সব্যসাচীর ঈদসামগ্রী বিতরণ

ময়মনসিংহ সদরে আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় ১৫০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সার্বিক সহযোগিতায় মরহুম আফাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে সরকার মোঃ সব্যসাচী পুরো মাসব্যাপী অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার প্রদান করেন।

মরহুম আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকার ময়মনসিংহ সদরের আকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। অবহেলিত আকুয়া ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে তিনি বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করেছেন। যদিও বর্তমানে এটি আর ইউনিয়ন নেই। এটি এখন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অংশ। মরহুম আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকার জীবিত থাকা অবস্থায় এই ইউনিয়নের মানুষদের পাশে সবসময়ই দাঁড়াতে চেষ্টা করতেন বলে শোনা যায়।

এ বিষয়ে আকুয়া এলাকার বাসিন্দা সজীব বলেন, ‘আফাজ কাকা অনেক জনপ্রতিনিধিদের মতো চাকচিক্যময় জীবন পছন্দ করতেন না। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করে সাধারণ মানুষের ভীড়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। এসব কারণেই এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কাছে কাকার প্রতি সম্মানের জায়গাও অনেক উচ্চে।’

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় মরহুম আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার মোঃ সব্যসাচী চেষ্টা করেছেন অসহায় নিম্নবিত্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। আর পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাবার নামে আফাজ উদ্দিন সরকার ফাউন্ডেশন।

সরকার মোঃ সব্যসাচী বলেন, ‘আমার বাবা কখনো নিজের কথা ভাবেননি। উনার চিন্তার পুরোটা জুড়েই ছিলো জনগণ। আব্বা সবসময় জনগণের মাঝে থেকে জনগণের জন্য কিছু করতে চেষ্টা করতেন। আকুয়ার অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট ছিলোনা। আব্বা অনেক রাস্তা পাকা করেছে। এমনকি মানুষজন ভাবতে পারেনি এসব জায়গাতেও আব্বা রাস্তাঘাট করেছে। আব্বা এই এলাকার মানুষদের জন্য একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। আমার আব্বা আকুয়াকে সুস্থ ও নিরক্ষর মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।’

সব্যসাচী বলেন, ‘হয়তো আব্বার সব স্বপ্ন সম্পূর্ণ পূরণ হয়নি। আর সেগুলোই এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পূরণ করতে চেষ্টা করবো। আজ আব্বা বেঁচে থাকলে দেশের এই দুঃসময়ে কখনোই বসে থাকতেন না। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করতেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে। আজ আব্বা নেই। তাই চেষ্টা করেছি আব্বার হয়ে অসহায় মানুষদের দুঃখটাকে ভাগাভাগি করে নিতে। এছাড়াও আব্বার মিলাদ মাহফিলের জন্যে যে টাকা রেখেছিলাম সেটা সীমিত আকারে আয়োজন করে বাকী পুরো টাকাও এবার যোগ করেছি এই ঈদ উপহার ফান্ডে।’

সব্যসাচী আরো বলেন, ‘ময়মনসিংহের প্রবাদ পুরুষ, গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ভাতিজা হিসেবে খুব কাছ থেকে দেখেছি কি করে মানুষের পাশে থাকতে হয়, মানুষকে ভালবাসতে হয়। আমার চাচা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণেই নিবেদিত করেছেন। জীবনের শেষ বেলায় এসেও তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। চাচার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমার প্রয়াত পিতা আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকার তার জীবদ্দশায় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি আকুয়া ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠতা ও নিবেদিতপ্রাণ থাকায় তিনি পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক। যার সুচারু নেতৃত্ব আকুয়ার জনগণ পেয়েছিল একটি মডেল ইউনিয়ন। সেই পিতার নামে জনমানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হল আফাজ উদ্দিন ফাউন্ডেশন। আমাদের পথ প্রদর্শক মোহিত রহমান শান্ত ভাইয়ের নির্দেশনায়- শ্রদ্ধেয় চাচা ও প্রয়াত পিতার জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতায় কাজ করবে আলহাজ্ব আফাজ উদ্দিন সরকার ফাউন্ডেশন। এ পথ চলা প্রাগৈতিহাসিক যুগের তবে প্রাতিষ্ঠানিক অবয়ব রূপ নিলো করোনা দুর্যোগ থেকে।’

জানা গেছে, ফাউন্ডেশন থেকে শুধুমাত্র খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নয়। নীরবে নিভৃতে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ইফতারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও সরকার মোঃ সব্যসাচী ফাউন্ডেশনটিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *