কৃষকের সাড়া পেলেই ধান কাটতে ছুটছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ছাত্রলীগ
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে উত্তর সুহিলপুর গ্রামের ২ কানি (৬০ শতাংশ) জমির ধান কেটে দেয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুলের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। এ সময় দা, কাচি দিয়ে কৃষক আজিজুল হকের ধানি জমির ধান কেটে তা ওই কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনালি ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা সংকটে সেই ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। মাঠজুড়ে ধান পেকে থাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে সেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিল না কৃষক। তাই কৃষকের ফলানো এসব সোনালি ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের চোখে মুখে হাসি ফোঁটাতে ধানি জমিতে নেমেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগ।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং কাজও করছে। যখনই যেখান থেকে সাড়া পাচ্ছি ধান কাটতে ছুটছি। কৃষকের কষ্টে ফলানো সোনালি ধান কেটে কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কৃষক আজিজুল হক জানান, করোনার কারণে আমার এক মাস ধরে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই একদিকে টাকার সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার কিছু টাকা জোগাড় করলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে জমিতে ধান পাকলেও তা কাটার কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। পড়ে যখন খবর পেলাম ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে দিচ্ছেন তখন তাদের কাছে গেলে তারা আমার জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়।
ধান কাটায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক দিদারুল আলম সজীব, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জুবাদেয় মিয়া, ছাত্রলীগ কর্মী আলাউদ্দিন তপু, সাইদুল, জামির, জাকারিয়া, সাজিদ হাজারি, আমিন হাজারি, মনসুর, মেহেদী হাসান, আকাশ, মো. জাকারিয়াসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, চলমান করোনা সংকটে শ্রমিক সংকটের কারণে জেলার বিভিন্ন ধানি জমির ধান কাটা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে কৃষক।